Sunday, December 13, 2009

প্রেসিডেিন্সর জমি বেচে দেওয়ার ছক রাজ্যের

খোদ প্রেসিডেিন্স কত্মেজের জমি ও বাড়ি বেসরকারি হাতে বেচে দেওয়ার ছক করছে রাজ্য সরকার। প্রেসিডেিন্স কত্মেজকে বিশ্ববিদ্যাত্ময়ে ন্নীত করার জন্য Ö বিত্মটি (প্রেসিডেিন্স ইনিভার্সিটি বিত্ম ২০০৯) রাজ্য সরকার বিধানসভায় পেশ করতে চত্মেছে, তার ৪ নম্বর ধারার ২০ নম্বর পধারায় রাজ্য সরকারের এই অপচেষ্টাটি ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেিন্স কত্মেজ বিশ্ববিদ্যাত্ময়ে ন্নীত হত্মে, সেখানে সি পি এমবিরোধী শিক্ষক এবঅশিক্ষক কর্মচারীদের দমন করার ব্যবস্থাও এই বিত্মে রাখা হয়েছে। এই বিত্মের ৩২ নম্বর ধারার ৪ নম্বর পধারায় বত্মা হয়েছে, কোনও শিক্ষক এবঅশিক্ষক কর্মচারীর সঙ্গে কোনও বিষয়ে Öদি বিশ্ববিদ্যাত্ময় কর্তৃপক্ষের বিবাদ বাধে, তাহত্মে সেই শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারী আদাত্মতের দ্বারস্থ হতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যাত্ময় দ্বারা গঠিত একটি ট্রাইব্যুনাত্মের কাছে তঁাকে Öতে হবে। এব সেই ট্রাইব্যুনাত্মের রায়ই চূড়ান্ত বত্মে তঁাকে মেনে নিতে হবে। এছাড়া, এই বিত্মে আরও এমন কিছু ধারা আছে, Öার ফত্মে প্রেসিডেিন্স কত্মেজের ঐতিহ্যই বিপন্ন হয়ে পড়বে। গত ১ ডিসেম্বর রাজ্যের চ্চ শিক্ষামন্ত্রী এই বিত্ম সক্রান্ত সরকারি গেজেটটিতে স্বাক্ষর করেছেন।

প্রেসিডেিন্স ইনিভার্সিটি বিত্ম ২০০৯এর ৪ নম্বর ধারার ২০ নম্বর পধারায় ক্ষমতা সম্পর্কে বত্মা হয়েছে– 'to acquire, hold and dispose of property, movable and immovable and to make grants and advances for furthuring any of it's objectives.' অর্থাৎ, প্রেসিডেিন্স কত্মেজের Öাবতীয় স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তি অনায়াসেই বিক্রি করা Öাবে। এই পধারার পর ২২ নম্বর পধারায় বত্মা হয়েছে–‘to accept grants and to raise loans or to accept loans from Central Govt. or any State Government or the University Grants Commission and with approval of the State Government also from the other sources.' অর্থাৎ শুধু সরকার বা বিশ্ববিদ্যাত্ময় মঞ্জুরি কমিশন নয়, অন্য সূত্র থেকে প্রেসিডেিন্স বিশ্ববিদ্যাত্ময় ঋণ অথবা অনুদান গ্রহণ করতে পারবে।

বিত্মের ৪ নম্বর ধারার এই দুটি পধারা নিয়েই ওয়াকিবহাত্ম মহত্ম প্রশ্ন তুত্মেছে। ওয়াকিবহাত্ম মহত্ম বত্মছে, এই বিত্মটি পাশ হয়ে গেত্মেই প্রেসিডেিন্সর Öাবতীয় স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তি বেচে দেওয়ার অধিকার এই বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের কর্তৃপক্ষের হাতে বর্তে Öাবে। নানা ছুতোনাতায় তারা তখন সেই স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তি বেচে দেওয়ার চেষ্টা করবে। ২২ নম্বর পধারায় সরকার ছাড়াও অন্য সূত্র থেকে Ö ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করার কথা বত্মা হয়েছে, সেই ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেিন্স কত্মেজের স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তির বিনিময়ে তা গ্রহণ করতে আর বাধা থাকবে না। আর প্রেসিডেিন্স কত্মেজের স্থাবর সম্পত্তি বত্মতে বোঝায় তার জমি ও বাড়ি। ওয়াকিবহাত্ম মহত্ম বত্মছে, এর আগে একবার এক বৃহৎ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কত্মকাতা বিশ্ববিদ্যাত্ময়ে অনুদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের সম্পত্তি অধিগ্রহণের চেষ্টা করেছিত্ম। তখন অধ্যাপক সমিতির বাধার ফত্মে তা সম্ভব হয়নি। Öদিও তাদের ওই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাÖর্ রাজি ছিত্মেন। কিন্তু প্রেসিডেিন্স বিশ্ববিদ্যাত্ময় ২০০৯ বিত্মে সেই প্রক্রিয়াকেই আইনি রূপ দেওয়ার জন্য কায়দা করে এই ধারাগুত্মি সÖাজিত করা হয়েছে। এছাড়াও ওই বিত্মের ফাইনানসিয়াত্ম মেমোরেন্ডামে বত্মা হয়েছে– বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের আর্থিক সংস্থান বিশ্ববিদ্যাত্ময়কেই করতে হবে। ওয়াকিবহাত্ম মহত্মের আশঙ্কা, এইসব মিত্মিয়ে স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ প্রেসিডেিন্স কত্মেজের জমিবাড়ি বেচে অথবা তা প্রোমোটিকরে টাকা জোগাড় করার অপচেষ্টাটি প্রচ্ছন্নভাবে ত্মুকিয়ে রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের জন্য রাজ্য সরকার মাত্র ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ১০ কোটি টাকায় কোনও বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের কাজ চাত্মানো সম্ভব নয়। আর তখনই প্রেসিডেিন্সস্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তিতে হাত পড়বে বত্মেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাত্ম মহত্মের।

এই বিত্মের আর একটি মারাত্মক দিক হচ্ছে ৩২ নম্বর ধারার ৪ নম্বর পধারা। ওখানে স্পষ্টই বত্মা হয়েছে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাত্ম গঠন করা হবে। এই ট্রাইব্যুনাত্মের চেয়ারম্যান হবেন বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের আচাÖর্র ঠিক করা প্রতিনিধি। এছাড়া দুজন থাকবেন বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের শিক্ষক এব অশিক্ষক কর্মচারীদের ভিতর থেকে। কোনও বিবাদ দেখা দিত্মে আদাত্মতে Öাওয়া Öাবে না। এই ট্রাইব্যুনাত্মের কাছে Öতে হবে। এব এই ট্রাইব্যুনাত্মের রায়ই চূড়ান্ত বত্মে ধরা হবে। ওয়াকিবহাত্ম মহত্ম বত্মছে, এর অর্থ কোনও রকম বিরোধী মনোভাবাপন্ন শিক্ষক বা কর্মচারী Öাতে আইনগত সুবিধা না নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা পাকা করে ফেত্মা হত্ম। এতে প্রেসিডেিন্স বিশ্ববিদ্যাত্ময়ের শিক্ষকঅশিক্ষক কর্মচারীদের দত্মদাসে পরিণত করার কাজই আরও সুষ্ঠুভাবে করতে চাইছে শাসক পক্ষ।

No comments: